ফেনী জেলার ইতিহাস | ফেনী কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি তোমরা সবাই অনেক ভালো আছো । আর তোমাদের সকলের দোয়ায় আমি খুবই ভালো আছি । বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা জানতে চলেছি ফেনী জেলার ইতিহাস এবং ফেনী কিসের জন্য বিখ্যাত তা নিয়ে বিস্তারিত । তাই তোমার যদি জানার প্রয়োজন হয় তাহলে পুরো পোস্টটি পড়ুন ধন্যবাদ ।
ফেনী জেলার ইতিহাস | ফেনী কিসের জন্য বিখ্যাত
১৯৮৪ সালে প্রশাসনে কোন গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মনোনীত করে অন্তরিত করা হয়েছিল তার মধ্যে ফেনী জেলার নতুন ১৯৮৪ সালের পূর্বে এটি নোয়াখালী জেলার একটি মুহূর্ত ছিল হাজার ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে মিরসরাই ছাগলনাইয়া ও আমিরগাঁও এর সমন্বয় প্রথম মহাকাশে ছিলেন কবি নবীনচন্দ্র সেন ১৮৭৬ সালে মিরসরাই চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয় । প্রথম কুমার সদর দপ্তর ছিল আমিরগাঁও সালের মধ্যে মুঘল আমলের আমিরগাঁও থানা নদী ভাঙ্গনের ফলে ফেনী নদীর কাছাকাছি খায়রাতের স্থানান্তরিত হয় । পরবর্তীতে এটি ফেনী থানা নামে পরিচিত হয় । অতঃপর ১৮৭৬ সালের নতুন কুমার পতন হলে খাইরা থেকে থানা দপ্তরে স্থানান্তরিত হয় নতুন মাটি ফেনী নামে পরিচিত হয় । পরবর্তীতে ১৮৮১ সালে তার ফেনী শহরের স্থানান্তরিত হয় ফেনী নদীর নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নাম রাখা হয় । ফ্রেন্ড মধ্যযুগের কবি সাহিত্যিকদের লেখা একটি বিশেষ নদীর স্রোতধারা উঠেনি পারাপারের ঘাট হিসেবে কোন শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে ষোড়শ শতাব্দীর সময়ের কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পড়া গল্পটার মনোনয়ন লাভ করে কোন নদীতে বেষ্টিত চারিধার পূর্বে মহাকাল নাই । তারপর সতের শতকে মির্জা রাখালের ফারসি ভাষায় রচিত বাহারিস্তান-ই-গায়েবী পড়ে শব্দটি পরবর্তীতে ফেনী শব্দ রূপান্তরিত হয় । ফেনী জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর জেলার মধ্য দিয়ে কয়েকটি নদী প্রবাহিত হওয়ার ফলে কৃষি জমির উর্বর এছাড়াও এ অঞ্চলের অনেক লোক বিদেশে থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক আয়ের জেলা অর্থনীতিকে করেছে সমৃদ্ধ বর্তমানে অনেক কলকারখানা এখানকার অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সমলতা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ফেনী দ্বিতীয় ফেনী জেলার মোট আয়তন ৯২৮ দশমিক ৩৪ বর্গকিলোমিটার ১৩৮ জন তিনি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । বেশ কয়েকটি নদীয়া জেলার প্রধান প্রধান নদী গুলো হচ্ছে ফেনী নদী, মুহুরী নদী, ছোট ফেনী নদী, তবু আনদি সিলোনিয়া নদী এবং কালিদাস পাহালিয়া নোবেল ।
ফেনী জেলায় রয়েছে ৬ টি উপজেলা ৬ টি থানা পাঁচটি পৌরসভা ৪৩ টি ইউনিয়ন ৫৪০ মৌজা ৫৬৪ গ্রাম ও তিনটি সংসদে আসন নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে তিন দিক থেকে ফেনী জেলার সীমান্ত রয়েছে । পহেলা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা সাথে সাথে সারাদেশের মতো ফেনী ও ফুঁসিয়ে উঠে । বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণের পর পরই ফেনীতে শুরু হওয়া যায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ । জননেতা মালেক সাহেবের নেতৃত্বে গঠিত হয় দুইটি সংগ্রামী কমিটি আওয়ামী লীগ সংগ্রাম কমিটি ও অপরটি যুব-ছাত্র গ্রাম কমিটি ধারাবাহিকতা আহমদের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চ সকাল থেকে ফেনীর পূর্ব উকিলপাড়া সহ হাজী মনির উদ্দিন সদাগরের বাড়ি রফিক-উল হকের বাসায় কর্ম নির্ধারণী বৈঠকে একজন সংগঠক পবিত্র কুরআন ছুয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনে আত্মোৎসর্গের শপথ নেন । তিনি সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয় ।
এরমধ্যে সৌরভিলু নিয়ে যুদ্ধ অন্যতম তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ফেনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন আব্দুল মালেক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের প্রেসিডেন্ট ও খাজা আহমদের নেতৃত্বে ফেনী জেলার মুক্তিযোদ্ধা দেরাদুন চোত্তাখোলা এ প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার জাফর ইমামের নেতৃত্বে বেলুনিয়ার যুদ্ধ একটি অনন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে । ৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ৷ ফেনীকে মুক্ত করেন প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর থেকে ফের জেলাবাসীর ফেনী মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করেন । মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া হয়েছে । এ জেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছে চারজন বীরউত্তম বীরবিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয় ।
Read More:
- পিরোজপুর জেলার ইতিহাস | পিরোজপুর কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩
- মাগুরা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত | মাগুরা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি – ২০২৩
- শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস | শরীয়তপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩
ফেনী জেলার সাক্ষরতার হার ৫৯.৫% বিশ্ববিদ্যালয় ২৩ ডিগ্রি কলেজ ১১ টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ দশটি বালিকা ক্যাডেট কলেজ একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতটি কম্পিউটার ইনস্টিটিউট একটি মাদ্রাসা ৯৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫০ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯ টিটিটিআই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬৮ ফেনী জেলার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাত বেশ উন্নত । এ জেলায় রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আধুনিক হসপিটাল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা বিশিষ্ট তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একটি হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল, একটি ডায়াবেটিক্স হসপিটাল বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, একটি ট্রমা সেন্টার,, একটি মা ও শিশু কেন্দ্র, একটি নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ১৯ টি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, 33 টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১১৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ।
এছাড়া এই জেলায় রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কাজিরবাগ ইকো পার্ক, কালিদহ বার্তা বাবু জমিদার বাড়ি, কৈয়ারা দীঘি চাঁদগাজী, ভূঁইয়ার মসজিদ, চৌধুরী বাগানবাড়ি, জগন্নাথ কালীমন্দির, তৃপ্তি দাগনভূঞা জমিদার বাড়ি, প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি, ফেনী নদী, ফেনী বিমানবন্দর, বাঁশপাড়া জমিদারবাড়ি, বিজয় সিংহ দীঘি ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর মুহুরী প্রজেক্ট মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ, জিন্দেগি শমসের গাজীর কেল্লা সোশালি শাহী মসজিদ, শিল্পমন্দির সাপোট সেনেরখিল জমিদার বাড়ি ।
ফেনী জেলায় রয়েছে শত শত কীর্তির সন্তানের বসবাস এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম বলছি রামগঞ্জে চৌধুরী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল আওয়াল মিন্টু, এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি ভাষা শহীদ আবদুস সালাম, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আহমেদ, প্রাক্তন বিচারপতি আমিন আহমেদ চৌধুরী, বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আহ্মেদ ফজলুর রহমান ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি উপাচার্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা এনামুল হক, অভিনেতা লেখক এবং নাট্যকার বি এম মুসা, সাংবাদিক পর্বতারোহী এভারেস্ট বিজয়ী দ্বিতীয় বাঙালি নারী চিত্রশিল্পী এবং প্রাক্তন বিচারপতি খালেদা জিয়া, রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী গাজীউল হক, সাহিত্যিক গীতিকার এবং ভাষাসৈনিক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, নাট্যকার নাট্য নির্মাতা এবং চলচ্চিত্রকার গিয়াস কামাল চৌধুরী, সাংবাদিক কলামিস্ট এবং সংবাদ বিশ্লেষণ জহির রায়হান, চলচ্চিত্র পরিচালক উপন্যাসিক এবং গল্পকার জয়নাল হাজারী, বাংলাদেশি প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক মন্ত্রী জাহানারা বেগম সুরমা, রাজনীতিবিদ নজির আহমেদ ।
ছাত্রনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রথম শিকার তিনি পান্না কাউজার, রাজনীতিবিদ ফজলুল মহিউদ্দিন, শহীদ বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ক্রিকেটার রবিউল হক, বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী শমী কাউসার, অভিনেতা এবং প্রযোজক শরিফা খাতুন, শিক্ষাবিদ এবং ভাষাসৈনিক শহীদুল্লাহ কায়সার, লেখক এবং বুদ্ধিজীবী সাঈদ এস্কান্দার, বাংলাদেশের প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সালাউদ্দিন মমতাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক খান, শহীদ বুদ্ধিজীবী সুমাইয়া কাজী, নারী উদ্যোক্তা সুলতান মাহমুদ, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিম আল দীন, নাট্যকার এবং গবেষক হাবিবুল্লা বাহার উদ্দিন, রাজনীতিবিদ সাংবাদিক এবং ফুটবলার মোহাম্মদ নুর ইসলাম সর্কার, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বুদ্ধিজীবী ।