পিরোজপুর জেলার ইতিহাস | পিরোজপুর কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩

হ্যালো বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা জানতে চলেছি পিরোজপুর জেলার ইতিহাস এবং পিরোজপুর কিসের জন্য বিখ্যাত তা সম্পর্কে বিস্তারিত । তাই এখন আর কথা না বলে চলুন জেনে নেই ।
পিরোজপুর জেলার ইতিহাস | পিরোজপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
পিরোজপুর জেলা বঙ্গোপসাগরের ঐশ্বর্য জোয়ার-ভাটার কলিজাতে গলা একটি পল্লব ভুবা সহ গাঙ্গেয় বদ্বীপ এর দক্ষিণবঙ্গে সাগরদিঘী একদিন যে মিতৃকা উঁকি দিয়েছিল সেটি কালক্রমে প্রণীত হয়েছে জনপদে মুখরিত হয়েছে যৌন কোলাহলে তবে গাঙ্গেয় বদ্বীপ যে বোবা খুনি পিরোজপুর জনপদ গঠিত অঞ্চল অপেক্ষাকৃত বয়সে নবীন ও বাংলাদেশের দক্ষিণ বঙ্গে অবস্থিত প্রান্ত ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত ।
পিরোজপুর জেলার নামকরণের অনেকগুলো মতামত থাকলে উল্লেখযোগ্যগুলো বলা হচ্ছে । সুলতানি আমলে মুসলিম শাসক ফিরোজ শাহের নাম অনুসারে বাংলা চন্দ্রদ্বীপের এ অঞ্চল পরিচিতপ্রায় পিরোজপুর নাম বর্তমান পিরোজপুর নামটি অপভ্রংশ বলে গবেষকরা মনে করেন পর্ণমতে মোগল সম্রাট শাহ সুজার অকালপ্রয়াত পুত্র ফিরোজ শাহের নামে পিরোজপুর এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে পিরোজপুর নামকরণ করা হয় । মোগল আমলে জঙ্গল আবাদ করে সুন্দরবন অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি শুরু হলে পিরোজপুর অঞ্চলেও জনবিন্যাস ঘটে সম্রাট আকবরের আমলে লবণ রহিত করা হলে সুন্দরবন অঞ্চল লবণ উৎপাদনের জন্য বৃদ্ধি পায় এবং গড়ে ওঠে মোগলদের রাজস্ব পরগনা নীরমহল ।
ক্রমশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে হাজার 854 সালে সিংহালি বিদ্রোহ উপর্যপরি বালেশ্বর দামোদর প্রচুর কালিগঙ্গা নদীতে নৌকা কা তেল উৎপাদন বন্ধ করার লক্ষ্যে 1856 সালে বাখরগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমান পিরোজপুর অঞ্চলকে একটি মহৎ সৃষ্টির প্রস্তাব করেন । কিন্তু 1857 সালে সিপাহী বিদ্রোহ আর কারণে তা কিছুটা বিলম্বিত হয় । অতঃপর 1859 সালে 28 শে অক্টোবর পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হয় ।
এর আগে পিরোজপুর ছিল টক্কা থানার একটি গ্রাম 1873 সালে বিচারে তাদের সুবিধার্থে জেলখানা 1885 সালের পহেলা জুলাই পিরোজপুর নিয়োগ সিটি পেলেটিক 1887 সালের লোকাল বোর্ড এবং উনিশ শতকের শেষের দিকে পিরোজপুরে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে পিরোজপুরে নাগরিক সুবিধাসহ শহর গড়ে ওঠে ।
অন্যদিকে জনসংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পিরোজপুর মহকুমা সংখ্যা বৃদ্ধি ও পুনঃবিন্যাস করা হয় । হাজার 900 ত্বকের মাঝামাঝি থেকে পিরোজপুর অঞ্চলের জনপ্রিয় শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশি সরকারগুলোর পুনঃবিন্যাস ঘটে এবং নতুন থানার সৃষ্টি হয় । 2002 সালে উপজেলা পদ্ধতি চালু হলে উপজেলার নামকরণ করা হয় হাজার 1984 সালে মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হলে শাস্তি উপজেলা 645 গ্রাম নিয়ে শেরপুর জেলা গঠিত হয় ।
অন্য পোস্ট :
উপজেলা কাউখালী মাঠবারিয়া নাজিরপুর নেছারাবাদ পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী 1988 সালে গঠিত হয় । পিরোজপুর জেলা পরিষদ 1971 সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর 7 ই মার্চের ভাষণ এর প্রেক্ষিতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তৎকালীন পিরোজপুর ।
প্রতিটি গ্রামে গড়ে ওঠে প্রতিরোধের দুর্গাপুর পলিটেকনিক জমিদারবাড়ি পরিত্যাক্ত ভবন গড়ে ওঠেনি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প শত্রু বিভীষণ আমার বিকালে ঢাকা থেকে আগত শামসুল হক ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক ও আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা পিরোজপুরে পাকিস্তানি পতাকায় অগ্নিসংযোগ করতে করতে মিছিলসহকারে শহর প্রদক্ষিণ করেন ।
ধূসর আমার ছাত্র ইউনিয়ন শহরে বাঁশের লাঠি মিছিল নিয়ে শহরের রাস্তায় সকালের দিকে শৃঙ্খলা মহড়া প্রদর্শন করলে পথচারী জনসাধারণ করতালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানায় প্রথম হানাদার বাহিনীর প্রবেশ করে 17 এপ্রিল সরকার গঠনের পর পিরোজপুর মহকুমা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের সাথে একাত্মতা করে । এবং পাকিস্তানের সরকারের সাথে সর্বপ্রকারের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এসময় পিরুজপুরি স্কুল মাঠ ।
কালেক্টরেট মাহফিল মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণের পুরোদমে চালু হয়ে গেল স্বাধীন বাংলাদেশের সিল তখন পিরোজপুর ট্রেজারি অফিসার ফাইভ মিজানুর রহমান হাজারীর অস্ত্রশস্ত্র টাকাপয়সা তুলে দেন মুক্তিবাহিনীর হাতে পিরোজপুরে তখন দিয়েছিলেন ফয়জুর রহমান তিনি তার পুলিশ বাহিনী নিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন । পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় হিন্দু আর স্বাধীনতাপক্ষের মুসলমানদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় হত্যা করা হয় ।
অসংখ্য মানুষ 1971 বলেশ্বর খেয়াঘাটের দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা কে হত্যা করে তাদের লাশ ফেলে দেওয়া হয় বলেশ্বর নদীতে বলেশ্বর নদীর পাড়ে ও তার আশেপাশের গাছ ছিল হত্যাযজ্ঞের প্রদানকেন্দ্র পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস বলেশ্বর খেয়াঘাট অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা 1971 খেয়াঘাটে গুলি করে হত্যা করা হয় ।
আর মধ্যে যেসব শহীদের নাম পাওয়া গেছে তাদের নাম হচ্ছে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক শহীদ, মিজানুর রহমান ও শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন বাজার বধ্যভূমি এরাই প্রথম হত্যাকান্ডের শিকার হন তৎকালীন এসডিও আব্দুর রাজ্জাক ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এসডিপি ও ফয়সাল আহমেদ কে গুলি করে হত্যা করা হয় ।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পিরোজপুর সদরে তালিকা খালি গ্রাম থেকে এক দড়িতে বেঁধে আনা হয় মোসলেম আলী শেখ আব্দুর রহমান সরদার সালবনি আর আব্দুল গফফার মাস্টারের হাওলাদার যোগফল 130 মাঝি এবং সাংবাদিকসহ 12 জন স্বাধীনতা তাদের বলেশ্বর বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় । 1971 সালের 8 ই ডিসেম্বর দুপুর 12 টায় তৎকালীন পিরোজপুর মহাকুমা শত্রুমুক্ত হয় ।
এবং সমাপ্তি ঘটে দীর্ঘ নয় মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীনে সুন্দরবন সাব সেক্টর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর কমান্ডার এর আওতায় মোগল আমলে পিরোজপুর অঞ্চল জনসংখ্যা ছিল কমবেশি প্রায় এক লক্ষ নারীতে উল্লেখিত প্রবর্তনের ফলে এ অঞ্চলের জনসংখ্যা একসময় রাস্তা কোম্পানি শাসনের শুরুতে 1757 সালে জনসংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লক্ষ 18 সালে তারা পিরোজপুর মহাকুমা প্রতিষ্ঠাকালে এলাকার সংখ্যা ছিলো প্রায় সাড়ে 3 লাখ 1872 সালের প্রথম আদমশুমারি হয় ।
সেসময় জনসংখ্যা ছিল প্রায় 3 লক্ষ 68 হাজার বছর পর আদমশুমারি প্রবর্তন হয় । এবং আয়তন হ্রাস বৃদ্ধির কারণে পিরোজপুর এর জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে 2001 সালের আদমশুমারিতে এই জেলার জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে 11 লক্ষ 26 হাজার 525 জন পিরোজপুর এর ভাষা ও সংস্কৃতি বেশ প্রাচীন এবং সম্মিলিত অবস্থিত হওয়ায় এই অঞ্চলের বাশার পিরোজ পুরের বাসায় নেই কোনো বিশেষ বাসাবাসি বরিশালের কথ্য ভাষার অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর ও দক্ষিণ বিক্রমপুরের কথ্য ভাষার সাথে অনেকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তবে পশ্চিম পিরোজপুর-নাজিরপুর সাথে বাঘ হাট খুলনা আর কতবার কিছুটা মিল রয়েছে ।
তাঁর বিখ্যাত ল্যাঙ্গুয়েজ সার্ভে অফ ইন্ডিয়া গ্রন্থের পিরোজপুর এর এলাকার উপভাষা নমুনা দিয়েছেন । এ অঞ্চলে শব্দের আদিতে দন্তমূলীয় উষ্ণ ধ্বনি তালিবাশ্য দন্তস্য এবং মদীনা এর পরবর্তীতে মহাপ্রাণ ধ্বনি উচ্চারিত হয় । যেমন সিরিয়াল সিরিয়াল শালা শালা পিরোজপুর জেলায় রয়েছে শত শত কৃতি সন্তান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দের আমরা বলছি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কোরআন সাবেক সংসদ সদস্য ও যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বরিশাল জেলা মুসলিম লীগ এবং কৃষক প্রজা পার্টির সভাপতি ছিলেন ।