নড়াইল জেলার ইতিহাস | নড়াইল কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন । আমি আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি । আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো নড়াইল জেলার ইতিহাস এবং নড়াইল কিসের জন্য বিখ্যাত তা সম্পর্কে বিস্তারিত । তাই এখন আর দেরি না করে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই ।
নড়াইল জেলার ইতিহাস | নড়াইল কিসের জন্য বিখ্যাত
১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে নড়াইল প্রতিষ্ঠিত হন নামে উচ্চারিত হয় । এসময় নড়াইল সদর লোহাগাড়া ও কালিয়া থানার সমন্বয়ে গঠিত হয় । ১৯৬০ সালে আলফাডাঙ্গা থানা যশোর হতে ফরিদপুর জেলা উঠতে হয় । ১৯৮৪ সালের পহেলা মার্চ নড়াইল জেলা রূপান্তরিত করা হয় । প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন শাফায়াত আলী মুক্তির রয়েছে বিশেষ অবদান নড়াইল জেলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযুদ্ধ অনুষ্ঠিত জেলা হতে প্রায় ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে । দেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ দেবাঞ্জন মরহুম ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইলের কৃতি সন্তান মুক্তিযুদ্ধকালীন বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদাতবরণকারী সংখ্যা একেবারে কম নয় । আমাদের বাহিনী কর্তৃক চিত্রা নদীর পাড়ে লঞ্চঘাট পল্টনের উপরে ২৮০০ লোককে নিঃসংশ ভাবে হত্যা করা হয় । এবং অস্ত্র ও সঙ্গমের ফলে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর নড়াইল হানাদার মুক্ত হয় । নড়াইল জেলার নামকরণ নিয়ে বেশ কয়েকটি মতামত রয়েছে ।
এর মধ্যে আমরা উল্লেখযোগ্যগুলো বলছি এসএমএস উদ্দিন আহমেদ এর মতে নড়িয়াল হতে নড়াইল নামের উৎপত্তি হয়েছে । যারা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আমিও বাসায় তাদের লড়ে বলে হযরত খানজাহান আলীর সময়ে রাজ্যের সীমান্ত সীমান্ত প্রহরী নিয়োজিত ছিল । নড়াইল এলাকা নদী-নালা-খাল-বিল বেষ্টিত সীমান্ত পরীক্ষা তৈরি করা হচ্ছে । সেনারা পাহারা দিত এভাবে লাল এবং লাল হতে নড়াইল নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে । আরেকটি মত প্রচলিত হলো নড়ানো থেকে নড়াইল নামের উৎপত্তি হয়েছে বাংলাদেশের অনেক স্থানের নামের সাথে মিলে প্রত্যয় যোগ আছে যেমন টাঙ্গাইল ঘাটাইল বাসাইল টাংগাইল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু কিংবদন্তি ভাল্লুক কাহিনী প্রচলিত আছে একটি বড় পাথর সরানোর কে কেন্দ্র করে নড়াইল নড়াইল নামের উৎপত্তি বলে কেউ কেউ মনে করেন ।
নড়াইল জেলায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ এ জেলার লোকদের প্রধান পেশা গুলো হচ্ছে কৃষি ৪৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মৎস্য ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কৃষি মজুর ১৮.০২ শতাংশ, মজুর শ্রমিক ২.৪% শিল্প এক দশমিক ৩১ শতাংশ, ব্যবসা ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ, চাকরি ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, পরিবহন খাতে রয়েছে ২.৬% এবং অন্যান্য পেশার হয়েছে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, নড়াইল জেলা একটি কৃষি প্রধান জেলা জেলায় মোট আবাদযোগ্য জমি রয়েছে ৭১ হাজার ৪৭৮ এর মধ্যে এক ফসল হয় ৪৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জমিতে ফসল হয় ৪৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, জমিতে এবং ত্রিপোলি ফসল হয় ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, জমিতে এই জেলার প্রধান শস্য ধান পাট গম তেলবীজ সরিষা ১ পলাইস স্টরি মধ্যে রয়েছে ।
অন্য পোস্ট :
- মাগুরা জেলার ইতিহাস | মাগুরা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩
- ডালিম খাওয়ার ১৩টি উপকারিতা – ২০২৩
- কাঁঠাল খাওয়ার ২২টি উপকারিতা – ২০২৩
নীলকমল তোলাও বাঙালি ফল আম কাঁঠাল পেপে কলা জাম নারিকেল সুপারি নড়াইল জেলায় রয়েছে, বেশ কয়েকটি বৃহৎ শিল্প এবং মাঝারি শিল্প এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো বলা হচ্ছে বস্ত্রকল একটি বিস্কুট কারখানা ৬টি ফলনশীল কয়েকটি পরাৎপর ব্যালিস্টিক বরফ কারখানা আঠারোটি চাল ও আটা কল ৪৫ টি কুটির শিল্পের মধ্যে বাঁশ ও বেতের কাজ কাঠের কাজ স্বর্ণকার কামারকুন্ডু কাল দর্জি অন্তর্ভুক্ত সদর ও লোহাগাড়া এবং নড়াগাতি জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন দুইটি কালিয়া উপজেলা নড়াইল উপজেলা ইউনিয়ন নয় এবং নড়াইল পৌরসভা উপজেলার একটি ইউনিয়নে নড়াইল ২ আসন নড়াইল জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে ।
নদীগুলো হচ্ছে আঠারোবাকি নদী নবগঙ্গা নদী তিস্তা নদীর মধুমতি নদী ও ভৈরব নদীর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইছামতির বিল ও চাচা রেবেল নড়াইল জেলার সাক্ষরতা ৩৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ এর মধ্যে পুরুষ ৪২ দশমিক ২৩ শতাংশ, এবং মহিলা ১৫.৯৯ শতাংশ জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে ১৭ টি কারিগরি কলেজ, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৯৪ টি যুনিয়র হাই স্কুল, ২২৮৮৫ মক্তব ১৬০ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮৭ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭১ টি স্কুল একটি বৃত্তিমূলক স্কুল, ১ টি কারিগরি স্কুল, ৩ টি পদ্মফুল একটি কমিউনিটি স্কুল ৬ টি এবং স্যাটেলাইট স্কুল হাজার ৯০০ নড়াইল জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, কালিয়া পাইলট হাই স্কুল, সন্তানের বসবাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রাহুল পন্ডিত চৌধুরী বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ এবং এন্ড বিখ্যাত শিল্পী উদয় শংকর ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সেতার বাদক রবি শংকর এর পিতা সৈয়দ নাসের আলি ফজলুল হক মন্ত্রিসভার মন্ত্রী কমল সেন তেভাগা আন্দোলনের প্রধান নেতা এসএম সুলতান বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নূর মোহাম্মদ, শেখ মির্জা স্টপ শরিফুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নড়াইল মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য নড়াইল ২ অধিনায়ক জাতীয় ক্রিকেট দল এবং সংসদ সদস্য শামীম সুলতানা কবি উপন্যাসে এবং রাজনীতিবিদ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ কৃষকলীগ কবি ও শিশু সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, রসায়নবিদ চারণকবি মোসলেম উদ্দিন, তেরোশো সালের রচিয়তা কবিয়াল বিজয় সরকার বিখ্যাত কবি গান গায়ক, ডাক্তার নীহাররঞ্জন গুপ্ত প্রায় ৫০ টি উপন্যাসের লেখক নুরজালাল, তেভাগা আন্দোলনের মধ্য মনি কমলা দাশগুপ্ত নজরুল সংগীত, শিল্পী শেখ আবদুল সালাম সর্বকনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক মোহাম্মদ মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং নড়াইল জেলার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নেতৃত্বদানকারী লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার শরীফ নুরুল আম্বিয়া রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক, অধ্যাপক ডঃ মোঃ আবু সিনা বিবিএ অনার্স এমবিবিএস কামিল পিএইচডি দৌলতপুর হিসাববিজ্ঞানে সাবেক সভাপতি হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ।
কুষ্টিয়া নড়াইল জেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো আমরা বলছি নড়াইল জমিদার বাড়ি হাত বাড়িয়ে আমি তার বাড়ি এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের গোয়ালবাথান গ্রামের মসজিদ কদমতলা মসজিদ নদীতে গাজী দরগা উজিরপুরে রাজাকে শ্বশুরবাড়ি জোড়বাংলার অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাধাগোবিন্দ মন্দির লক্ষীপাশা কালীবাড়ি নিশি নাকতলা মধুমতি নদীর উপর নির্মিত চাঁপাইয়ের সেতু আঠারোবাকি নদীর তীরবর্তী দৃশ্য চিত্রা রিসোর্ট নিরিবিলি পিকনিক স্পট স্বপ্নবীথি আরুনিমা রেসর্ট বাদাঘাট ভিক্টোরিয়া কলেজ চিত্রা নদী হাত বাড়িয়ে জমিদারবাড়ি অমৃতনগর কাচারিবাড়ি শ্রীশ্রী গঙ্গাধর পাগলা ঠাকুরের আশ্রম উইলিয়াম ফোর্ট কে নববঙ্গ মধুমতি নদীর সংযোগস্থল এর জন্য খনন করা হয় ।