চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ইতিহাস | চাঁপাইনবাবগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩

প্রথমে সবার প্রতি সালাম আসসালামু আলাইকুম । বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ইতিহাস এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত তা নিয়ে বিস্তারিত । তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি পড়বেন । আশা করি বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ইতিহাস | চাঁপাইনবাবগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামটি সাম্প্রতিককালের জেলাবাসীর দাবির মুখে ২০০১ সালে পহেলা আগস্ট সরকারিভাবে নবাবগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করা হয় । জেলার নাম পরিবর্তন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূর্বে নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল । চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে জানা যায় প্রাণ ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চল ছিল মুর্শিদাবাদ নবাব দের বিহার ভূমি এবং এর অবস্থান ছিল বর্তমান সদর উপজেলার দাউদ পুর । মৌজা নবাবরা তাদের পাত্র-মিত্র পরিষদ নিয়ে স্থানে স্বীকার করতে আসতেন বলে এই জায়গার নাম নবাব রাখা হয় ।
নবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামের ইতিবৃত্ত নবাব আমলে মহেশপুর গ্রামের চম্পাবতী মতান্তরে চম্পা রানী অথবা চম্পা বাড়ি নামে এক সুন্দরী ভাইদের বাস করতেন । তাঁর খ্যাতি আশেপাশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি তখন নবাবের প্রিয় পাত্রী হয়ে ওঠেন তারই নাম অনুসারে এই জায়গার নাম রাখা হয় চাপায় । এই অঞ্চলে ছিল রাজা লক্ষিন্দরের বাসর ভূমি লক্ষিন্দরের রাজধানী ছিল চম্পক চম্পক থেকেই জামায়াত এবং ভাষাবিদ ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা সাহিত্যের ভাগবতের প্রথম খন্ড বর্ণিত অনুযায়ী লাউসেনের শত্রু রাজা মতিনগর দিয়ে গৌরী প্রবেশ করেন ।
বর্তমান ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়ীয়া পূর্বে যা মতিনগর নামে পরিচিত ছিল । এসবের উপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গবেষক মনে করেন চাঁপাইতে বেহুলার শ্বশুর বাড়ি চম্পকনগর নামের করেছেন এবং মত দিয়েছেন যে চম্পক থেকেই চাপাই নামের উৎপত্তি হয়েছে । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বর্তমান অবস্থান বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্ব পশ্চিমের । এই জেলার মোট আয়তন ১৭০০২.৫ বর্গকিলোমিটার । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কে বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ।
কারণ গৃষ্ম কালে এই চারটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্থনীতির প্রধান উৎস চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অধিকাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রকার বিভিন্ন ধরনের গাছ দিয়ে ভরপুর থাকে । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় এরমধ্যে শিবগঞ্জ ভোলাহাট নাচের এবং গোমস্তাপুর উপজেলার সবচেয়ে বেশি আমের উৎপাদন হয়ে থাকে । উপাদানগুলোর মধ্যে হচ্ছে পদধূলি ল্যাংড়া, খিরসা, হাসিনা, বোম্বাই অন্যতম গম্ভীরা বাংলাদেশ লোকসংগীত এর অন্যতম একটি ধারা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পশ্চিমবঙ্গের কোন অঞ্চলে প্রচলন রয়েছে গম্ভীরা দলবদ্ধ ভাবে গাওয়া হয় এটি একটি বর্ণনামূলক গান ।
অন্য পোস্ট :
- মাগুরা জেলার ইতিহাস | মাগুরা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি – ২০২৩
- পিরোজপুর জেলার ইতিহাস | পিরোজপুর কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩
- শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস | শরীয়তপুর কিসের জন্য বিখ্যাত – ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গম্ভীরা মুখ্য চরিত্র হচ্ছে না এবং রাতে দুটি চরিত্র খুবই জনপ্রিয় ধারণা করা হয় যে গম্বিরাম উৎসবের প্রচলন হয়েছে শিব পূজা কে কেন্দ্র করে । কারণ এক নাম গম্ভীরতায় শিবের উৎসবই গম্ভীরা উৎসব কি হলো গম্ভীরা গান উৎসবের সঙ্গে সঙ্গীতের ব্যবহারের পেছনের জাতিগত ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় রয়েছে ৫টি উপজেলা, ৪৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১২৯৫ গ্রাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা একটি অসাম্প্রদায়িক জেলা । এই জেলায় রয়েছে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছে ৯৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, হিন্দু ধর্মালম্বী রয়েছে ৪.০৪ শতাংশ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী রয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারী রয়েছে ০.২৫% ।
শিক্ষাদিক্ষা ও সংসদের দিক দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেশ উন্নত । এখানে রয়েছে সাক্ষরতার হার প্রায় ৬৬ শতাংশ ভোট রয়েছে, ৩৭০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮২ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চারটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চারটি সরকারি কলেজ, ৪৮ টি বেসরকারি কলেজ, ১২৮ টি মাদ্রাসা, একটি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি যুব উন্নয়ন কেন্দ্র, দুইটি পিটিআই রয়েছে । নবাবগঞ্জের মানুষেরা বাংলা ভাষাতে কথা বললেও তাদের উচ্চারণে প্রমিত বাংলা থেকে একটু আলাদা ।
তাদের কিছু শব্দের উচ্চারণ এখানে দেয়া হলো গানটা বাড়ির পেছনে জায়গা নন্দা গরুর গোবর দিয়ে তৈরি একপ্রকার জ্বালানি বেহুদা বদমাশ বোঝানোর সামর্থ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান । যেমন ছোট সোনা মসজিদ, পাড়া থানা, শাহ নেয়ামতুল্লাহ মাজার, চামচিকা মসজিদ, ধনিয়া মসজিদ, স্বপ্নপল্লী নাচোল, রাজবাড়ী বাবুদা, রহনপুর নওদা বুরুজ, নোয়াখাইল্লা সাতটি নীলকুঠি মহানন্দা নদী সরলা, তেঁতুল গাছ, পূর্ণিমার বেঙ্গল, পিকনিক পার্ক, কনসার্টের জমিদার বাড়ি ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় রয়েছে শত শত তৃতীয় সন্তান যার মধ্যে আমরা কয়েকজন এর নাম বলছি ইলা মিত্র উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী প্রফেসর ডাক্তার এমাজউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোঃ রফিকুল নবী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস এর সাবেক পরিচালক আলোকচিত্রাচার্য মনজুর আলম, বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের প্রতীক আধুনিক ফটোগ্রাফির জনক একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চারজন বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি মহান ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিক প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ আইনজীবী গবেষক ও লেখক প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন, শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মমতাজউদ্দীন আহমেদ, নাট্যকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট ওসমান গনি, ভাষাসৈনিক রাজীব রহমান, কনসার্ট আন্দোলনের প্রথম কবি জেনারেল অফ সর্দার আমিনুল করিম সেনা ।