
কাঁঠাল খাওয়ার ২২টি উপকারিতা – ২০২৩: আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং সুঘ্রাণে ভরপুর। ছোট-বড় সকলেই এই ফলটি খেতে পছন্দ করে। কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়া আমাদের শরীরের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী।
আমরা অনেকেই কাঁঠাল ফল খাওয়ার পাশাপাশি কাঁঠালের বীজ খেতেও ভালোবাসি। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন আস্তে আস্তে কাঁঠালের উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম
নিয়ম মেনে কাঁঠাল খেতে হবে । অনিয়মিত কাঠাল খেলে আমাদের বিভিন্ন রোগ বাড়তে পারে । তো চলুন জেনে নিই কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম ।
- শরীর সুস্থ থাকলে কাঁঠাল খান । আর শরীর অসুস্থ হলে কাঁঠাল খাবেন না । কারণ কাঁঠাল খাওয়ার পর শরীর খুব অস্থির হয়ে যায় । তাই সুস্থ শরীরের জন্য কাঁঠাল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা ।
- কাঁঠাল খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার । তবে কাঁঠাল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় । বেশি খেলে বদহজম হতে পারে ।
- আমরা যেকোনো ফলের জুস বানিয়ে খেতে পারি । তাই আপনি চাইলে কাঁঠালের জুস বানিয়ে খেতে পারেন । ফলে আপনার শরীর অনেক উপকারী হবে ।
- কাঁঠালে প্রচুর আঠা থাকে । ফলস্বরূপ, আপনি যখন কাঁঠাল খাবেন, তখন আপনার হাতে কাঁঠালের আঠা লেগে যাবে । তাই কাঁঠাল খাওয়ার পর হাতে সরিষার তেল লাগান । দেখুন আপনার হাতের আঠা সহজেই উঠে যাবে ।
কাঁঠালের বীজ খাওয়ার নিয়ম
কাঁঠালের বীজ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী ।কারণ এই বীজে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ । তো চলুন জেনে নিই কাঁঠালের বীজ খাওয়ার নিয়ম ।
কাঁঠাল ফলের ভিতরের বীজ খেতে সুস্বাদু । আপনি চাইলে এই বীজ রান্না বা একটি পাত্রে ভেজে খেতে পারেন । তবে কাঁঠালের বীজ ভেজে খেলে বেশি উপকার পাবেন । এছাড়া এই বীজ রান্না করে ভালো উপকার পাবেন । তবে ডাক্তাররা কাঁঠালের বীজ গরম পানিতে সিদ্ধ করে খাওয়ার করার পরামর্শ দেন । ফলে কাঁঠালের বীজের সব পুষ্টি উপাদান শরীরে প্রবেশ করবে ।
Visit Now : tophealthy24
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর । তো চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ।
প্রোটিন ১.৭২ গ্রাম, চিনি ১৯.০৮ গ্রাম, ৩৯৭ কিলোক্যালরি, স্নেহ- ০৬৪ গ্রাম, খাদ্য-আঁশ ২.০০ গ্রাম, ভিটা ক্যারোটিন ৬১ মাইক্রোগ্রাম, রিবোফ্লাবিন (বি২) ০.৫৫ মিঃগ্রাম, ভিটামিন এ ৫ মাইক্রোগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.২৩৫ মিঃগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯ মিঃগ্রাম, জিংক ০.১৩ মিঃগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪ মিঃগ্রাম, নায়াসিন (বি৩) ০.৯২ মিঃগ্রাম, লৌহ ০.২৩ মিঃগ্রাম, ফোলেট (বি৯) ২৪ মাইক্রোগ্রাম, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ইত্যাদি ।
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা
- হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়
- ওজন কমায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- হাড় মজবুত করতে
- ক্লান্তি দূর করে
- সর্দি-কাশি প্রতিরোধে
- হাঁপানি উপশম করে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে
- ত্বক উজ্জ্বল করে
- রক্তাল্পতা দূর করে
- দাঁতের মাড়ির শক্তি বৃদ্ধি করে
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
- মানসিক চাপ কমাতে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- মায়ের দুধের বৃদ্ধিতে
- মুখের রুচি বৃদ্ধি করে
- শিশুদের সুস্থ রাখে
- মায়েদের পুষ্টি বৃদ্ধি করে
- শরীরের শক্তি বাড়ায়
- আলসার রোগ দূর করে
- পাইলসের ঝুঁকি কমায়
১) হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়
ভালো হজমশক্তি আমাদের সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ হজম ভালো না হলে খাবার খেতে সমস্যা হবে । হজমশক্তির উন্নতিতে কাঁঠাল বিশেষ ভূমিকা পালন করে । কাঁঠাল আকারে বড় হওয়ায় আমরা যখন কাঁঠাল খাই, তখন তা একাই পেটের জায়গা দখল করে । যার কারণে মলত্যাগ বাড়ে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দুর হয়ে যায় ।
২) ওজন কমায়
ওজন কমাতে আমরা কত কিছুই না করি? অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করেন আবার অনেকে তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেন । বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় । তবে কাঁঠালে চর্বি খুবই কম । ফলে কাঁঠাল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে হবে । কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো না থাকলে যেকোনো রোগ সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন একটি খাবার কাঁঠাল । কারণ কাঁঠাল ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করতে পারে । ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
৪) হাড় মজবুত করতে
হাড় মজবুত করতে আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিই । অনেকে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ওষুধ খায় । তারপরও দেখা যাচ্ছে হাড় মজবুত হচ্ছে না । কিন্তু আপনি কি জানেন যে কাঁঠাল হাড় মজবুত করতে খুবই কার্যকরী? কারণ কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা খুব দ্রুত হাড় মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
৫) ক্লান্তি দূর করে
আমরা কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি । অনেকেই অস্থির । কাঁঠাল এ ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । ক্লান্ত হয়ে পড়লে দুই থেকে তিন চামচ কাঁঠালের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আপনার ক্লান্তি খুব দ্রুত চলে যাবে ।
৬) সর্দি-কাশি প্রতিরোধে
সর্দি কাশি একটি অত্যন্ত বিরক্তিকর রোগ । এই রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের গলা ব্যাথা হয়ে যায় । সাধারণ সর্দি সারাতে আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিই । কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি কাঁঠাল ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার সর্দি কাশি এবং জ্বর খুব সহজেই চলে যাবে ।
৭) হাঁপানি উপশম করে
হাঁপানি একটি খুব কঠিন রোগ । হাঁপানিতে আক্রান্ত আক্রান্ত ব্যাক্তি জানেন হাঁপানি কতটা কঠিন । তবে কাঁঠাল হাঁপানি দূর করতে পারে । এর জন্য আপনাকে কাঁঠালের মূল ছেঁকে একটি পাত্রে রেখে সিদ্ধ করতে হবে । ভালো করে ফুটানোর পর প্রতিদিন এক চা চামচ খেতে হবে । এক সপ্তাহের মধ্যে এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন ।
অন্য পোস্ট :
- পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা – ২০২৩
- আরোগ্য সদন ফরিদপুর ডাক্তারের তালিকা – ২০২৩
- বাংলাদেশের সেরা ১৯টি স্কুলের তালিকা – ২০২৩
৮) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
হৃদরোগ আমাদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে রাখে । এই রোগ সারাতে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি । কিন্তু হৃদরোগ কমে না । তবে আমরা আপনাকে বলতে পারি যে আপনি যদি প্রতিদিন কাঁঠাল খেতে পারেন তবে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে । কারণ কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ।
৯) দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে
আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যায় । বর্তমান বাংলাদেশে এই সমস্যা ব্যাপক হারে ঘটছে । আপনি কি জানেন যে কাঁঠাল দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে? কারণ কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন এ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান । ফলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হতে পারে ।
১০) ত্বক উজ্জ্বল করে
আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করার চেষ্টা করা উচিত । কারণ মানুষ উজ্জ্বল ত্বক ছাড়া দেখতে পছন্দ করে না । বেশিরভাগ মানুষই ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য স্কিন ক্রিম ব্যবহার করেন । তবে আপনি যদি প্রতিদিন দুই থেকে চার চামচ কাঁঠালের রস খেতে পারেন, তাহলে দেখবেন কিছু দিনের মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে ।
১১) রক্তাল্পতা দূর করে
রক্তাল্পতা সমস্যা ভয়াবহ একটি রোগ । যার এই রোগটি হয়েছে সেই বুঝে রক্তাল্পতার জ্বালাযন্ত্রণা । এই রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি । অনেকে বিভিন্ন ফার্মেসির ওষুধ সেবন করে থাকেন । তবে আপনি যদি প্রতিদিন কাঁঠাল খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তাল্পতা অনেকটা কমে যাবে । কারন কাঁঠালে থাকা খনিজ পদার্থ এবং আয়রন রক্তাল্পতা দুর করার বিশেষ ভুমিকা পালন করে । তাই আপনার রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাঁঠাল খেতে পারি ।
১২) দাঁতের মাড়ির শক্তি বৃদ্ধি করে
বিশেষ করে যাদের যাদের দাঁতের মাড়ি শক্তি দুর্বল রয়েছে তাদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী । কারন কাঁঠাল ফল দাঁতের মাড়ির শক্তি করার বিশেষ ভুমিকা পালন করে । এছাড়াও অনেকের দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে তাদের জন্যও কাঁঠাল খুবই সুস্বাদু । এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দৈনিক কাঁঠাল খেতে পারেন ।
১৩) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক রোগ । আমাদের সকলের এই রোগটি রয়েছে । কারো বেশি কারো কম যাদের বেশি তাদেরকে বলা হয় ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত আর যাদের কম তাদেরকে ডায়াবেটিসের রোগী বলা হয় না । কাঁঠালে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদানগুলো রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সক্ষম । ফলে কাঁঠাল ডায়াবেটিস কমাতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে ।
১৪) মানসিক চাপ কমাতে
মানসিক চাপের কারনে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি প্রবেশ করতে পারে । এছাড়া মানসিক চাপের কারনে রাতের ঘুম হয় না । এজন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে যত তারাতাড়ি সম্ভব মানসিক চাপ কমানোর । কাঁঠাল ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান মানসিক চাপ কমানোর বিশেষ ভুমিকা পালন করে । এজন্য আপনাকে দৈনিক নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।
১৫) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
আমরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি । কিন্তু আপনি কি জানেন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে কাঁঠাল সাহায্য করে । কারন কাঁঠাল ফলে প্রচুর পরিমান পটাসিয়াম থাকে । যা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর বিশেষ ভুমিকা পালন করে। এছাড়া কাঠাল ষ্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম ।
১৬) মায়ের দুধের বৃদ্ধিতে
মায়ের দুধের ঘাটতি হলে তা শিশুর জন্য সমস্যা হবে । মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে কাঁঠাল ফল বিশেষ ভূমিকা পালন করে । কাঁঠালে উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টিগুণ খুব দ্রুত মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে পারে । তাই মায়েদের জন্য কাঁঠাল খাওয়া জরুরি।
১৭) মুখের রুচি বৃদ্ধি করে
যখন কোন রোগ আমাদের শরীরে আক্রমণ করে তখন আমাদের মুখে কোন স্বাদ থাকে না । ফলে সে ভাত, পানি, মাছ, মাংস খেতে চায় না । কিন্তু জানেন কি কাঁঠাল অরুচি দূর করতে সাহায্য করে? এর জন্য দুই চা চামচ কাঁঠালের রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার পান করুন । আপনার স্বাদ ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরে আসবে ।
১৮) শিশুদের সুস্থ রাখে
শিশুদের কাঁঠালের রস খাওয়াতে হবে। কারণ কাঁঠালের রস শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম । তবে শিশুদের অতিরিক্ত কাঁঠালের রস খাওয়া উচিত নয় । কারণ শিশুদের পুষ্টি উপাদান বেশি হলে তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর । তাই শিশুদের কাঁঠালের রস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
১৯) মায়েদের পুষ্টি বৃদ্ধি করে
মায়ের ভালো পুষ্টি থাকতে হবে । কারণ মা দুর্বল হয়ে পড়লে সন্তানের অনেক সমস্যা হয় । মায়েদের মধ্যে যাদের পুষ্টি প্রয়োজন, তাদের প্রতিদিন ৩-৪টি কাঁঠালের ফল খাওয়া উচিত । ফলে মায়েদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে ।
২০) শরীরের শক্তি বাড়ায়
কাঁঠাল শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । কারণ কাঁঠালে উপস্থিত সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । ফলে খুব দ্রুত এনার্জি বাড়তে পারে ।
২১) আলসার রোগ দূর করে
আলসার একটি মারাত্মক রোগ । যা আমাদের অনেক চিন্তিত করে । এই কঠিন সমস্যা সারাতে কাঁঠাল খুবই কার্যকরী । কারণ কাঁঠালের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আলসারের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
২২) পাইলসের ঝুঁকি কমায়
পাইলস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কষ্টের অবসান । এই জটিল রোগের অন্যতম ঘরোয়া প্রতিকার হল কাঁঠাল । কাঁঠালে উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজেই পাইলস সারাতে পারে । তাই আপনার পাইলস নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন কাঁঠাল খেতে পারেন ।
পরিশেষে
বন্ধুরা, আশা করি আপনারা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা, কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম, কাঁঠালের বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন । তারপরেও যদি কিছু জানার বাকি থাকে, অনুগ্রহ করে কমেন্ট করে আমাদের জানান । আমরা আপনার মূল্যবান প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করব ।
Leave a Reply