বাংলাদেশের জেলা

কক্সবাজার জেলার ইতিহাস | কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান – ২০২৩

বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা জানবো কক্সবাজার জেলার ইতিহাস এবং  কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত । তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পুর্ন পড়তে পারেন । আশা কটি আপনি বিস্তারিত ধারনা পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ ।

কক্সবাজার জেলার ইতিহাস | কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান - ২০২৩

কক্সবাজার জেলার ইতিহাস | কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান

কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত । চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চলগি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার জেলার মোট আয়তন ২৪৯১ বর্গকিলোমিটারে জেলার মোট জনসংখ্যা ২২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৯০ জন । এর মধ্যে পুরুষ ১১ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৮ জন এবং মহিলা ১০ লক্ষ ৯২ হাজার ৯১২ জন । জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯২০ জন । রাজধানী ঢাকা থেকে জেলার দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহর থেকে ১৪৩ কিলোমিটারে । জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলা, নাফ নদী ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম বঙ্গোপসাগর অবস্থিত ।

১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা গঠিত হয় এবং ওই বছরেই কক্সবাজার চকরিয়া মহেশখালী টেকনাফ থানার সমন্বয় কক্সবাজার মাহবুবা গঠিত হয় । প্রতিটি গ্রাম থেকে উখিয়া মহেশখালী-কুতুবদিয়া এবং কক্সবাজার সদর থেকে রামু থানায় পৃথক করে এই মাহবুবার অধীনে তিনটি থানা গঠিত হয় । ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলা কেমন কমিটিতে রূপান্তরিত করার ১৯৭২ সালের টাউন কমিটি বিলুপ্ত করে পৌরসভার রূপান্তর করা হয় । প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে হাজার ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ কক্সবাজার মামাকে জেলায় উন্নীত করা হয় । সর্বশেষ ২০০২ সালের এপ্রিল বৃহত্তর চকবারিয়া উপজেলা থেকে পেকুয়া উপজেলায় পৃথক করা হয় । কক্সবাজারের প্রাচীন নাম কি এই একসময়ে দ্বীপটা নামে পরিচিত ছিল ।

শব্দের অর্থ হলো হলুদ ফুল অতীতে কক্সবাজারে আশপাশের এলাকাগুলোতে হলুদ ফুলের যত্ন করতো অফিসার ক্যাপ্টেন ইমরান । ১৩২০ খ্রিস্টাব্দে এখানে একটি বাজারে স্থাপন করেন সেই বাজার থেকে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি ও ধর্মপ্রচারক গান অষ্টম শতকে চট্টগ্রাম ওয়াকিব বন্দরে আগমন করে । এই বন্দর এর মধ্যবর্তী কক্সবাজার এলাকায় আরবদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংস্পর্শে আসে নবম শতাব্দীতে কক্সবাজার বৃহত্তর চট্টগ্রাম হারিকেল হরিকেল আর রাজা কান্তি দেব দারা মাঝে শাসিত হতো । ১৯২৯ সালে আরাকান রাজা সুলতান ইন্দ্র চন্দ্র চট্টগ্রাম নেবার পর কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চাষীদের মাঝে জমি বিতরণ করে ।

উদাহরণ এর ফলে চট্টগ্রাম আরাকান বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এই অঞ্চলে আসতে থাকে বাড়াটা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ কক্সবাজার ৮টি উপজেলার টানা ৪টি পৌরসভা, ৭১ টি ইউনিয়ন, ১৮৮ মৌজা, ৯০২ টি গ্রাম ও চারটি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত । কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যার জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে উপজেলাগুলো হলো উখিয়া, কক্সবাজার কুতুবদিয়া, সম্বারিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া, মহেশখালী, রামু ।

চট্টগ্রাম জেলা কক্সবাজার জেলায় পাহাড় নদী সমুদ্র উপত্যাকা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য অন্যান্য জেলা থেকে স্বতন্ত্র বার্ষিক গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৩৩৭৮ কিলোমিটার উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় জেলার প্রায় সামুদ্রিক ঝড় জলোচ্ছ্বাস হারিকেন সাইক্লোন ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হয় । নদনদী কক্সবাজার জেলার মূল ভূখণ্ডের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া প্রধান নদী গুলো হচ্ছে মাতামুহুরী নদী খাল মায়ানমার সীমান্ত প্রবাহিত হচ্ছে নাফ নদী এছাড়া কুতুবদিয়া মহেশখালী দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মূল ভূখন্ড থেকে পৃথক করে ।

যথাক্রমে কুতুবদিয়া চ্যানেলে মহেশখালীর চ্যালেঞ্জ আবার মহেশখালী উপজেলা থেকে মাতাবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়ন থেকে পৃথক করে । কহলি নদী যোগাযোগ ব্যবস্থা কক্সবাজার বিমানবন্দর এ জেলার আকাশপথে যোগাযোগ মাধ্যম সড়কপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম দেশের বিভিন্ন শহর থেকে অনেক এসি নন এসি বাসে করে কক্সবাজার জেলায় ভ্রমণ করতে আসে । সাধারণত কক্সবাজার জেলার মানুষ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে । তবে কত ভাষা অনেক ক্ষেত্রে কক্সবাজার কেন্দ্রিক শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । ঐতিহাসিকভাবে অঞ্চলের মানুষ বর্তমান মায়ানমার এর সাথে ব্যাপক যোগাযোগ সম্পর্ক ছিল ।

যা এখনো সীমিত আকারে হলেও অটুট রয়েছে । এ কারণে আরাকান ভাষায় কিছু কিছু উপাদান কক্সবাজারে কত ভাষায় মৃত হয়ে গেছে উপজেলার তান্ত্রিক রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এদের প্রভাব ও স্থানীয় ভাষায় লক্ষ্য করা যায় । সমুদ্রতীরবর্তী হওয়ায় এ অঞ্চল মানুষ প্রাচীনকাল হতেই নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উত্তাল সাগরের সংগ্রাম সংগ্রাম করে টিকে রয়েছে বিধায় স্থানীয় চর্চার মাধ্যমে উপস্থাপনা সংগ্রামের চিত্রই ফুটে ওঠে । বিশেষ করে জেলে সম্প্রদায়ের প্রত্যাহিক জীবনে পর্যটন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সূর্যাস্ত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এটি বাংলাদেশের একটি পর্যটনকেন্দ্র এখানে দুই শতাধিক বড় হোটেল ৫ শতাধিক অন্যান্য হোটেল রয়েছে ।

এখানে ঝিনুক মার্কেট ও একটি বার্মিজ মার্কেট রয়েছে যেখানে মায়ানমার থাইল্যান্ড চীনের সামগ্রী পাওয়া যায় । দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বিশ্ব রেকর্ড করেছে । ২০০২ সালে বিশ্বের সব দেশের নাগরিকগণ এই কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকে পাহাড় থেকে হিমছড়ি পাহাড় থেকে দেখা যায় । কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হিমছড়ি, ইনানী সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ডুলাহাজারা, টেকনাফ, রামকোট, বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পাড়া, অজ্ঞ মেধা বৌদ্ধবিহার ইত্যাদি ।

মুক্তি যুদ্ধের ঘটনাবলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাহিনী চকবারিয়া ১৩ জন লোককে হত্যা করে এবং বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয় । একসময় পাকবাহিনীর টেকনাফ ডাকবাংলোতে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং রামুতে রামু উখিয়া টেকনাফ থেকে ৬০০ জন নিরীহ লোককে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন তিনটি বদ্ধভূমি একটি এখানে আবিষ্কৃত হয়েছে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button